পবিত্র কোরআনে সূরা হাদীদে আসমান ও জমিনের রাজ্যের কথা বলা হয়েছে:
لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَإِلَى اللَّهِ تُرْجَعُ الْأُمُورُ
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব তাঁরই। সবকিছু তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করবে। (সূরা হাদীদ, আয়াত: ৫)
অন্যদিকে, হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর ঘটনায় আসমান ও জমিনের রাজত্বের কথা বলা হয়েছে:
وَكَذَلِكَ نُرِي إِبْرَاهِيمَ مَلَكُوتَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلِيَكُونَ مِنَ الْمُوقِنِينَ
এরূপে আমরা ইবরাহীমকে সমুদয় আসমান ও যমীনের পরিচালনা (ব্যবস্থা) দেখিয়েছি যাতে সে নিশ্চিত বিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। (সূরা আনআম, আয়াত: ৭৫)। তাই আমাদের জমীন এবং আসমানের মুলক রয়েছে এবং অপর দিকে জামীন ও আসমানের মালাকুত রয়েছে।
সূরা মুলকের প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে:
تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ
প্রাচুর্যময় সেই সত্তা, সার্বভৌম ক্ষমতা কেবল তাঁরই হাতে। (সূরা মুলক, আয়াত: ১)
সূরা ইয়াসিনে বলা হয়েছে:
فَسُبْحَانَ الَّذِي بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ
স্তুত পবিত্র ও মহিমান্বিত তিনি, যিনি সর্ববিষয়ে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। (সূরা ইয়াসিন, আয়াত: ৮৩)।
এর অর্থ হল রাজ্যের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব এবং আকাশ ও পৃথিবীর রাজত্ব আল্লাহর হাতে। বিশেষ করে দ্বিতীয় আয়াত থেকে বোঝা যায় সবকিছুরই একটা রাজ্য আছে।
সর্বোপরি, এই এবং অন্যান্য আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, দুনিয়া (জগতের ক্ষেত্র) বস্তুর আবির্ভাবের উসিলা এবং আখেরাতের জগৎ তাদের রাজত্বের আবির্ভাবের উসিলা; অবশ্যই, এই ঘটনাগুলি পার্থিব জীবনে বিদ্যমান বা আমাদের আচরণ দ্বারা সৃষ্ট। কিন্তু অবহেলার আবরণের কারণে, পর্দা অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা তা দেখতে পাচ্ছি না:
لَقَدْ كُنْتَ فِي غَفْلَةٍ مِنْ هَذَا فَكَشَفْنَا عَنْكَ غِطَاءَكَ فَبَصَرُكَ الْيَوْمَ حَدِيدٌ
(তাকে বলা হবে,) ‘নিঃসন্দেহে তুমি এ (দিন) সম্পর্কে উদাসীন ছিলে, আমরা এখন তোমার সম্মুখ হতে তোমার পর্দা অপসারিত করেছি, আজ তোমার দৃষ্টি প্রখর হয়েছে। (সূরা কাফ, আয়াত: ২২)