আহমেদ বিন ইউসুফ আল-আজহারী, বাংলাদেশের শাইখুল কুররা এবং বাংলাদেশ কুরআনিক কেন্দ্রের পরিচালক, ইরানের ৪০তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত আছেন। এসময় কুরআন বিষয়ক বার্তা সংস্থা “ইকনা” তার একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।
শেখ ইউসুফ; বাংলাদেশের প্রথম কুরআনিক কর্মী
আল-আজহারী বলেছেন: আমি "ইকরা" আন্তর্জাতিক ইনস্টিটিউট নামে পরিচিত পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত সোসাইটির প্রধান এবং এ পর্যন্ত আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত হয়েছি।
আমার বাবা শেখ ইউসুফ ছিলেন পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ক্বারী। স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল এবং আমার বাবা এক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন।
বাংলাদেশে কুরআনী কার্যক্রমের প্রসার
তিনি বলেন: আমার বাবা আমাকে কুরআন মুখস্থ করার জন্য উত্সাহিত করেছেন এবং তারপরে আমি একটি ইসলামিক স্কুলে অধ্যয়ন করি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ফিকাহ শাস্ত্র, হাদীস, যুক্তিবিদ্যা, বালাগাত, ফাসাহাত এবং আরবী ব্যাকরণ সহ ইসলামী অধ্যয়নের ক্ষেত্রে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করি। আমি ২০০২ সালে, মিশরের আল-আজহার রিডিং সেন্টারে যায় এবং সেখানে আট বছর পড়াশোনা করে। একই সময়ে, আমি মিশরের কিছু বড় শায়খ যেমন শায়খ রাগীব মোস্তফা ঘোলুশ, শায়খ আবদুল আতি নাসিফ, শায়খ নাবিল এবং শায়খ জাবালের কাছে অধ্যয়ন করেছি এবং আশারাতুল কুবরা ওয়াস সোগরা তেলাওয়াতের অনুমতি পেয়েছি। তারপর আমি বাংলাদেশে ফিরে যায় এবং দেশে কুরআন পড়াতে থাকি এবং সকল বাংলাদেশী ক্বারী আমার ছাত্র।
ইরানি ক্বারীদের প্রতি বাংলাদেশিদের আগ্রহ
বাংলাদেশের মানুষ ইরানীদের খুব ভালোবাসে কারণ, প্রথমত, দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং দ্বিতীয় কারণ হলো ইরানি ক্বারী বাংলাদেশে নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন। আমার বাবা সবসময় ইরানী ক্বারীদের উত্তমরূপে স্বরণ করতেন। বাংলাদেশের মানুষ ইরানকে ভালোবাসে; তারা অনেক ইরানী ক্বারীদেরকে ভালো করে চেনে এবং তাদের সুন্দর তেলাওয়াত শুনতে সবসময় আগ্রহী থাকে।