IQNA

চট্টগ্রামে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের ৩৮তম বিজয় বার্ষিকী পালিত

14:12 - February 11, 2017
সংবাদ: 2602509
বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের ৩৮তম বিজয় বার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার বাদ আসর নগরীর হালিশহর আবাসিক এলাকার হোসাইনিয়া কমপ্লেক্সে শিয়া ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন-চিটাগং-এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রামে ইরান বিপ্লবের ৩৮তম বিজয় বার্ষিকী পালিত

বার্তা সংস্থা ইকনা: সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আরশাদ হোসাইন মেহেদী। এতে পবিত্র কুরআনিলাওয়াতের পর স্বাগত বক্তব্য রাখেন চমেক ছাত্র আমজাদ আসাদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমাজসেবক সামার হাসনাইন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হালিশহর হোসাইনিয়া ইমামবারগাহের খতিব এবং বিশিষ্ট আলেম হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা আমজাদ হোসাইন বলেন, "ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন রাজতন্ত্রের কবর রচিত হয়। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও আরব রাজতান্ত্রিক দোসরেরা হাত গুটাতে বাধ্য হয়। ইসরায়েলি জায়নবাদীদের বুকে কাঁপন সঞ্চারিত হয়। আন্তর্জাতিক ইসলামী সম্মেলনের মাধ্যমে শিয়া-সুন্নির ঐক্য প্রচেষ্টা, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনে সার্বিক সহযোগিতা, ইসলামী দলিল গবেষণার মাধ্যমে সমাজ সংস্কার, বিভিন্ন ভাষায় আহলে বায়েতের (আ.) কিতাব প্রকাশনার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে বিপ্লবী ইরান। পার্লামেন্টে খ্রিস্টান-ইহুদি-কুর্দি ও জরোয়াস্ট্রিয়ানদের প্রতিনিধিত্ব এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা, ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষা-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা, জঙ্গিবাদবিরোধী সক্রিয় যুদ্ধ করার মাধ্যমে ইসলামী ইরান আজ সারা বিশ্বে আলোচিত।"

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ইমাম আলী (আ.) পাঠাগার -হালিশহর শাখার সমন্বয়ক ডা. আমীর হোসাইন বলেন, "১৪০০ বছর আগে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বিপ্লব করে ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন। ইমাম হোসাইন (আ.) তাকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন। পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদ ও সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের অনুসারীরা মনে করেছিল, এই যুগে ইসলামী বিপ্লব অসার ধারণামাত্র। কিন্তু তাদের ধারণা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে ইমাম খোমেনীর (রহ.) নেতৃত্বে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে।"

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী চিন্তাবিদ মোহাম্মদ আলী পবিত্র করানের সুরা মহাম্মাদের ৩৮ নম্বর আয়াতের তাফসির উপস্থাপন করে বলেন, ‘রাইফেলের সামনে দাঁড়িয়ে গোলাপ ছুঁড়ে শাহাদাত বরণের মাধ্যমে ইরানে ইসলামী বিপ্লব সংঘটিত হয়। অব্যাহত পশ্চিমা অর্থনৈতিক অবরোধ আর আরবদের চাপানো যুদ্ধের পরও সালমান ফার্সির জাতি মাথা নত করেনি। হোসাইনিয়াতের শিক্ষা ধারণ করতে না পারলে এমন বিপ্লব সম্ভব নয়। এ বিপ্লবের মাধ্যমে ইমাম মাহদীর (আ.) আগমন ও বিশ্ব মজলুমের মুক্তির পথ তৈরি হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) এম এ জলিলের খোমেনীকবিতাটি আবৃত্তি করেন সাংবাদিক জুবায়ের জুয়েল।- সুত্র: প্রেস বিজ্ঞপ্তি

captcha