বার্তা সংস্থা ইকনা: সপ্তম শতাব্দীতে (৬১ হিজরি) কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসাইনের (আ.) শাহাদাত এবং তার ত্যাগ ও শিক্ষাকে শ্রদ্ধা জানাতেই মুসলমানরা প্রতি বছর আরবাইনে যোগ দেন।
ইমাম হোসাইনকে (আ.) ভালোবেসে তাদের এ দীর্ঘ পদযাত্রায় সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা থাকলেও ধারাবাহিক এ যাত্রা কখনো থেমে থাকেনি। এই পদযাত্রায় ইরানী অধিবাসীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ মুসলমান অংশগ্রহণ করছেন।
ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ইরাকে ১৫ লাখের অধিক বিদেশী (ইরানী ব্যতীত) যায়ের ইরাকে প্রবেশ করেছেন।
বার্তা সংস্থা ইকনা: ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ''সায়দ মুয়ান" ঘোষণা করেছেন: ইরাকের উপ-প্রধানমন্ত্রী "আকিল আল-খাজা আলী" জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মচারী যায়েরদের সুবিধার জন্য সর্বাক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন। ইমাম হুসাইন (আ.)এর যিয়ারতকারীগণ যাতে আইনগত ভাবে ইরাকে প্রবেশ করতে পারেন, সে জন্য ইরাকী কর্মকর্তাগণ শোচ্যর রয়েছেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, যেসকল ব্যক্তি অবৈধভাবে ইরাকে প্রবেশ করবে তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
সায়দ মুয়ান বলেন: হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (আ.)এর পবিত্র মাযার জিয়ারত কারতে এ পর্যন্ত ইরাকে ১৫ লাখের অধিক বিদেশী (ইরানী ব্যতীত) যায়ের ইরাকে প্রবেশ করেছেন। এসকল যায়েরদের মধ্যে অধিকাংশই আরব এবং এশিয়ার নাগরিক। আগামী কয়েক দিনে বিদেশী যায়েরের সংস্থা বৃদ্ধি হওয়ার আশংকা রয়েছে।
বলাবাহুল্য, ইরাকের পবিত্র নগরী কারবালায় ইমাম হুসাইন (আ.)এর মাযারে আরবাইনের শোকানুষ্ঠান পালনের জন্য প্রতিবছর ইরাকসহ বিদেশী কোটি কোটি যায়েরগণ এই শহরে উপস্থিত হন। এই পবিত্র শহরে উপস্থিত হয়ে সকলে হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর আহলে বায়েতের (আ.) প্রতি ভক্তি ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেন।